১। রপ্তানী বাণিজ্য কি?
বিশ্বের প্রতিটি দেশে বাণিজ্যের দুটি দিক থাকে, যেমনঃ একটি হল আমদানী বাণিজ্য এবং অপরটি হল রপ্তানী বাণিজ্য। উভয় প্রকার বাণিজ্যই (আমদানী ও রপ্তানী) এলসির মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হয়। আমদানী ও রপ্তানী একটি অপরটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। রপ্তানী এলসিতে বেনিফিসিয়ারী হিসেবে বিক্রেতা বা রপ্তানীকারককে চিহ্নিত করা হয়। রপ্তানী এলসির পক্ষে Advising Bank Negotiating Bank Paying Bank কাজ করে থাকে। একইভাবে আমদানী মতে সম্পাদিত হয়ে থাকে। রপ্তানী সাথে সাধারণ অর্থে যে সকল পক্ষ জড়িত থাকে তা নিম্নরূপঃ
- বিক্রেতা (Seller) বিক্রেতা: রপ্তানীকারক বা এলসির সুবিধাভোগী বা বেনিফিসিয়ারী হিসেবে পরিচিত।
- যোগাযোগ স্থাপনকারী (Correspondent) ব্যাংকঃ করেসপন্ডেন্ট ব্যাংক এলসি এর ইস্যুইং ব্যাংক হিসেবে পরিচিত, যা ক্রেতা বা আমদানীকারকের দেশে অবস্থিত। এলসি এর শর্ত মোতাবেক ক্রেতা/আমদানীকারকের পক্ষে এলসি খোলার সাথে সাথে উক্ত ব্যাংক বিদেশস্থ যোগাযোগ ব্যাংকের কাছে রপ্তানী দলিলপত্রাদি নেগোশিয়েট করার জন্য নির্দেশিকা পাঠিয়ে থাকে।
- রপ্তানীকারকের দেশের যেকোন বাণিজ্যিক ব্যাংকঃ এরূপ ব্যাংক Advising, Negotiating, Confirming বা Paying ব্যাংক এর দায়িত্ব পালন করে। রপ্তানী দলিলপত্র নেগোশিয়েট করার জন্য এই ব্যাংক যোগাযোগকারী বা ইস্যুইং ব্যাংকের পক্ষে তার নির্দেশিকা অনুসারে কাজ করে।
- ক্রেতাঃ আমদানীকারক বা এলসির আবেদনকারীকে ক্রেতা হিসেবে পরিচিত করা হয়।