বাণিজ্যিক ইনভয়েস
• বাণিজ্যিক ইনভয়েস রপ্তানীকারক কর্তৃক প্রণীত হয়ে থাকে, যাতে পণ্যের বিবরণ, মূল্য, পরিমাণ, গুণগত মান, শিপিং চিহ্ন, প্রাণকেট সংখ্যা, ক্রেতার নাম, এলসি এবং বিক্রয় চুক্তি নম্বর, পণ্যের গ্রেড, আয়তন, গ্যারেজের নাম, শিপমেন্টের তারিখ, বিল অব লেডিং ইত্যাদি তথ্যাদির উল্লেখ থাকে। এই গুরুত্বপূর্ণ দলিল প্রণয়নের সময় যে সমস্ত বিষয়াবলী স্মরণ রাখা দরকার তা নিম্নরূপঃ
• ইনভয়েসে উল্লেখিত পণ্যের বিবরণ এলসি এ উহার উল্লেখের সাথে হবছ সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে কিঞ্চিৎ তারতম্য বা সামান্য পরিবর্তন বাণিজ্যিক দলিলপত্রের অগ্রাহ্যের জন্য বড় কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। এজন্য ঋণপত্রে পণ্যের বিবরণে সামান্য ভুলভ্রান্তি রেখে প্রস্তুত করা উচিত নয়। এরূপও দেখা গেছে এলসিতে যদি উল্লেখ থাকে “ষ্টান্ডার্ড ব্লু চামড়া” তাহলে ইনভয়েসে তা “বাংলাদেশ ষ্ট্যান্ডার্ড ওয়েট ব্লু চামড়া” লেখার সুযোগ নাই। আবার এলসিতে “সাইজ ১, ২, ৩, ৪” উল্লেখ থাকলে ইনভয়েস-এ উহা পরিবর্তন করে “সাইজ ১ থেকে ৪” আকারে লেখা যাবে না।
• ইনভয়েস এর উপর নম্বর ও তারিখ থাকতে হবে, যা রপ্তানীকারক বা তার অনুমোদিত প্রতিনিধি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হবে;
• ইনভয়েস-এ বর্ণিত শিপিং চিহ্ন ও নম্বর, পণ্যের মোট ও নীট ওজন এলসির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে বিল অব লেডিং, প্যাকিং লিষ্ট এবং অন্যান্য দলিলপত্রের সাথেও সঙ্গতিপূর্ণ রাখতে হবে।
• এলসি-এর চাহিদা মতে উপযুক্ত সংখ্যক ইনভয়েস জমা দিতে হবে, যার মধ্যে অত্যন্ত দুটি অনুলিপি রপ্তানিকারক কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে অবশিষ্ট ইনভয়েসগুলোর একটি EXP ফর্মে দ্বিতীয় অনুলিপির সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে হবেএবং একটি অনুলিপি নেগোশিয়েটিং ব্যাংকের নিকট তার রেকর্ড হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে।
• যদি স্থানীয় চেম্বার অব কমার্স বা তাদের প্রতিনিধি বা আমদানীকারক দেশের স্থানীয় কূটনৈতিক মিশন দ্বারা ইনভয়েস প্রত্যয়ন, পণ্যের কোয়ালিটি সার্টিফিকেট, ক্রেতা কর্তৃক অনুমোদিত প্রিশিপমেন্ট ইন্সপেকশন, পণ্যের কান্ট্রি অব অরিজিন ইত্যাদি সংক্রান্ত তথ্যাবলি এলসিতে উল্লেখ করার শর্ত থাকে তবে তা যথাযথভাবে উল্লেখ করতে হবে;